WB OBC Case Update Today: পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি শংসাপত্র বাতিল সংক্রান্ত মামলাটি একদিকে যেমন রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত করেছে, অন্যদিকে তেমনই সামাজিক স্তরে গভীর প্রভাব ফেলেছে এই মামলা। আমরা কমবেশি সকলে জানি গত বছরের ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছিল, ২০১০ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে জাতিগুলিকে ওবিসি তালিকায় যুক্ত করেছিল, তা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই রায়ের পরে রাজ্যজুড়ে ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ও সংশয়। অবশেষে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলে কিছু স্বস্তি পায়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি বারবার পিছিয়ে চলেছে।
কী বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট?
২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাই কোর্ট থেকে যে রায় দেয় , তাতে ২০১০ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে ওবিসি সম্প্রদায়গুলিকে তালিকাভুক্ত করেছে, তা সংবিধানবিরোধী বলে দাবি। কারণ সরকার কোনও সামাজিক ও আর্থিক সমীক্ষা ছাড়াই এই তালিকা তৈরি করেছিল বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ আসে। তাই ২০১০ সালের পর যাঁরা ওবিসি সার্টিফিকেট পেয়েছেন, তাঁদের শংসাপত্র বাতিল বলে গণ্য হয়েছিল।
সম্পর্কিত পোস্ট
মমতা দিচ্ছে কন্যা বিবাহের জন্য 25,000 টাকা! শুধু এই কাজ করলে কেল্লাফতে - WB Govt Schemeএই রায়ের ফলে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েন লক্ষাধিক সাধারণ জনগণ। অনেকে সরকারি চাকরি, উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণের সুযোগ বা বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে সুবিধা পেয়েছিলেন এই ওবিসি শংসাপত্রের মাধ্যমে। সেই সব সুবিধা বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে ।
রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া
এদিকে রাজ্য সরকার দাবি করে, ২০১০ সালের পর তারা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে নতুন সম্প্রদায়গুলিকে তালিকাভুক্ত করেছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ছিল জনকল্যাণমুখী। তাই হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে দেয়। রাজ্য সরকার চায়, শংসাপত্র বাতিল না করে ন্যায্য সমাধানের পথ খোঁজা দরকার।
সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান ও পিছিয়ে যাওয়া শুনানি
২০২৫ সালের ২৮ জুলাই, সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের উপর একটি অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেথাকে। এর মানে, আপাতত ২০১০ সালের পর দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করা হচ্ছে না। এতে কিছুটা স্বস্তি পেলেও, দীর্ঘমেয়াদে সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনও পরিস্কার না।
এরপর থেকে একাধিকবার এই মামলার শুনানি নির্ধারিত থাকলেও সময়াভাবে তা পিছিয়ে যেতে থাকে। গত ১১ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য ছিল, কিন্তু মামলাটি তালিকায় না থাকায় শুনানি ধরা হয়নি। পরদিনও বিষয়টি শুনানিতে ওঠেনি। এরপর ২৫ আগস্ট ফের নতুন করে শুনানির দিন ঠিক করা হয়ে থাকে তবে সেদিনও শীর্ষ আদালত মামলাটি শুনানি তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়ে থাকে।
লক্ষাধিক মানুষের ভবিষ্যৎ ঝুলে আছে
এই মামলার রায় শুধুমাত্র আইনি জটিলতা নয়, সামাজিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। শিক্ষার্থী থেকে চাকরিপ্রার্থী কিংবা সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগী – অনেকেই বর্তমানে এই মামলার রায়ের উপর নির্ভর করে বসে আছেন। যদি হাই কোর্টের রায় বহাল থাকে, তাহলে তাঁদের ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে এবং তা থেকে প্রাপ্ত সমস্ত সুবিধাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এখন চোখ সকলের। রাজ্য সরকার একদিকে যেমন চাপের মুখে রয়েছে, তেমনি লক্ষাধিক মানুষ দিন গুনছেন একটি স্থায়ী সমাধানের আশায়। কিন্তু সেই প্রতীক্ষার সময় আরও কিছুটা বাড়ল বলে জানা যায়। কারণ সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে দিয়েছে এবং পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী সোমবার বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
প্যান কার্ড থাকলেই 5 লাখ তাৎক্ষণিক লোন! ঘরে বসে নিয়ে ফেলুন সুযোগ - Pan Card Instant Loan Idea
Aitpune is a experience content writer in various niches. I have 5 years experience in the field of content writing specially Bengali language. But i also work in English. So if any error done by me please forgive me.Thank You