WB Lashmir Bhandar Update: রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডার। এবার ক্ষনে ক্ষণে লক্ষীর ভান্ডার এর টাকা বৃদ্ধি নিয়ে নানারকম খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে। এবার জানা যাচ্ছে লক্ষীর ভান্ডারের টাকার নাকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি হতে চলেছে। তবে কতটা টাকা বৃদ্ধি হতে চলেছে বা এই খবরের সত্যতা কতটুকু তা আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনি এভাবে আপনার পরিবারের কেউ যদি এই প্রকল্পের টাকা পেয়ে থাকে তাহলে এই খবরটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন –
মমতা সরকার যখন প্রথম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিল, তখন থেকেই এটি রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প রূপ নিয়েছে। রাজ্যের বহু মহিলার জীবন এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকটাই বদলে গেছে বলে রিপোর্ট।বিশেষ করে স্বামীহারা, একাকী, আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে মাসে সরকারি সাহায্য পান তারা খুবই উপকৃত হচ্ছেন।
সম্পর্কিত পোস্ট
সুসংবাদ! মহিলারা পাবেন ₹১৮,০০০ ও পুরুষরা ₹১৩,০০০ আর্থিক সহায়তা, জেনে নিন পুরো আবেদন পদ্ধতি -Labour Card Yojana 2025লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কী?
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প চালুর মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যের গৃহবধূ, কর্মরত নয় এমন মহিলাদের হাতে কিছুটা সাহায্য তুলে দেওয়া যাতে তারা আর্থিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হতে পারেন। অনেকেই স্বামী বা পরিবারের উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে রয়েছেন, এরফলে নিজেদের ছোটখাটো চাহিদাগুলোর জন্যও তাঁরা পরের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েন। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেছিলেন।
শুরুতে কত টাকা দেওয়া হত?
এই প্রকল্পের প্রথম দিকে জেনারেল ক্যাটেগরির মহিলারা পেতেন প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি ভুক্ত মহিলারা পেতেন ১০০০ টাকা প্রতিমাসে। এই অর্থ সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়ে থাকে।
সময়ের সঙ্গে প্রকল্পে কী পরিবর্তন এল?
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ভাতা আরও বাড়ানো হবে। এরপর জেনারেল ক্যাটেগরির মহিলারা পেতে শুরু করেন ১০০০ টাকা করে, আর তফসিলি জাতির মহিলারা পেতে থাকেন ১২০০ টাকা প্রতি মাসে।
জানা যাচ্ছে: সেপ্টেম্বর থেকে মাসে ৩০০০ টাকা
২০২৫ সালের আগস্ট মাসে জানা যাচ্ছে, এবার থেকে অনেক মহিলারই অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন সেই পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ছয় গুণ বেড়ে যাচ্ছে। এই ঘোষণা রাজ্যজুড়ে মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে।
কারা এই ৩০০০ টাকা পাবেন?
তবে এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই রয়েছে। সকলেই কিন্তু এই ৩০০০ টাকা পাবেন না। এই বাড়তি অর্থ শুধু মাত্র সেই সব মহিলারা পাবেন যারা নিন্মক্ত যোগ্যতা পূরন করবে—
- রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে
- বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে
- কোনও রকম সরকারী চাকরিতে নিযুক্ত নন
- স্বামী বা পরিবারের মোট বাৎসরিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার নিচে থাকতে হবে
- পূর্বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছেন বা নতুন করে আবেদন করবেন তারা
আয় সংক্রান্ত নিয়ম
যাঁদের বাৎসরিক পারিবারিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা বা তার কম, শুধুমাত্র তাঁরাই এই নতুন ভাতার জন্য বিবেচিত হবেন বলে জানা যায়। অর্থাৎ মাসিক আয় গড়ে ২০,৮০০ টাকার নিচে থাকতে হবে। আয় প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজন পড়বে ইনকাম সার্টিফিকেট।
আবেদন করার নিয়ম
যদি কেউ এই প্রকল্পে নতুন ভাবে নাম নথিভুক্ত করতে চান বা পুরনো উপভোক্তা হয়ে থাকেন, তবে এই ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে—
আগে খোঁজ নিতে হবে যদি এরকম আবেদন চলছে তাহলে নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।
ধাপ ১: সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসে গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করুন
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নির্দিষ্ট ফর্ম পাওয়া যাবে গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক অফিস বা পৌরসভার অফিস থেকে ।
ধাপ ২: ফর্ম পূরণ
সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। নাম, ঠিকানা, বয়স, আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পরিবারের আয় ইত্যাদি ভালোভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করতে হবে
- আধার কার্ড
- ভোটার কার্ড
- রেশন কার্ড
- ব্যাঙ্ক পাসবুকের কপি
- রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- ইনকাম সার্টিফিকেট
ধাপ ৪: ফর্ম জমা দিন
শেষে সব কিছু ঠিকঠাক পূরণ করে ও নথিপত্র যুক্ত করে নিকটবর্তী অফিসে জমা দিতে হবে। এর পরে কর্তৃপক্ষ যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন যে আপনি যোগ্য কিনা।
পুরনো উপভোক্তাদের জন্য কী নিয়ম?
যাঁরা ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা রয়েছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে, তাঁদের ইনকাম সার্টিফিকেট জমা দিতে হতে পারে যদি তাঁরা ৩০০০ টাকার নতুন ভাতার জন্য বিবেচিত হতে চাই।
এই বাড়তি টাকা কবে থেকে পাওয়া যাবে?
এক নিউজ ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে নতুনভাবে এই ৩০০০ টাকা করে দেওয়া শুরু হতে পারে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের জন্য যারা এই বাড়তি ভাতা পেতে চাই, তাঁদের আগেই আবেদন করে রাখতে হবে।
কীভাবে ভেরিফিকেশন হবে?
সরকারি আধিকারিকরা জমা দেওয়ার পর নথিপত্র যাচাই করবেন এবং যদি দেখা যায় যে উপভোক্তা যোগ্য হয়, তাহলে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হতে পারে।
কতজন মহিলা উপকৃত হবেন?
প্রাথমিকভাবে সরকার মনে করছে রাজ্যের প্রায় ১.৮ কোটি মহিলা এই সুবিধা পেতে পারেন। তবে নতুন আপডেট অনুযায়ী, ইনকাম সার্টিফিকেট যাচাই করে পর্যায়ক্রমে যোগ্যদের এই বাড়তি ভাতা প্রদান করা হতে পারে।
ক্যাটেগরি | পূর্বে ভাতা (টাকা) | বর্তমানে ভাতা (টাকা) | সেপ্টেম্বর থেকে (নতুন আপডেট) |
---|---|---|---|
জেনারেল ক্যাটেগরি | ৫০০ | ১০০০ | ৩০০০ |
SC/ST ক্যাটেগরি | ১০০০ | ১২০০ | ৩০০০ |
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি মহিলার কাছে এখন শুধু ভাতা নয়, এটি তাঁদের আত্মসম্মান এবং স্বাবলম্বিতার প্রতীক। সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে মাসে ৩০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার এই নতুন ঘোষণা নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
Disclaimer : আজকে যে প্রতিবেদন রচনা করা হয়েছে তা আমাদের তরফ থেকে যথাযথভাবে যাচাই করা হয়নি। শুধুমাত্র বাংলা নিউজ পোর্টাল অর্থাৎ এশিয়ান নিউজ এর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই প্রতিবেদন রচনা করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত আগে যাচাই করে তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।

Aitpune is a experience content writer in various niches. I have 5 years experience in the field of content writing specially Bengali language. But i also work in English. So if any error done by me please forgive me.Thank You