Startup Allowance Scheme: বেকারত্বের মড়ক কাটাতে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগে এবার বিরাট পদক্ষেপ নিল এই সরকার। বাংলার “লক্ষ্মীর ভান্ডার” প্রকল্পের পথ ধরেই এই রাজ্যে চালু হয়েছে “মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা” প্রকল্প – যার মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা পেতে পারেন সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্টার্টআপ ভাতার সুবিধা। সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে বলে রিপোর্ট।
এই প্রতিবেদন থেকে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন—
সম্পর্কিত পোস্ট
মমতা দিচ্ছে কন্যা বিবাহের জন্য 25,000 টাকা! শুধু এই কাজ করলে কেল্লাফতে - WB Govt Scheme- এই প্রকল্প কী
- কাদের জন্য
- কিভাবে আবেদন করবেন
- কী কী কাজের জন্য ভাতা মিলবে
- এবং কত টাকা পেতে পারেন
লক্ষ্মীর ভান্ডার মডেলে মহিলা রোজগার যোজনা
আমাদের রাজ্যে ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। সেই মডেলকেই অনুসরণ করে পাশের সরকার এবার মহিলা রোজগার যোজনার মাধ্যমে মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করলো।
২৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে এই সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রকল্প অনুমোদন পেয়ে থাকে। এবং ঘোষণা অনুযায়ী, রাজ্যের দরিদ্র প্রান্তিক মহিলাদের সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়ে থাকবে, যা দিয়ে তারা ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারবেন বা অন্য কাজেও লাগাতে পারেন।
প্রথম ধাপে মিলবে ১০ হাজার টাকা, তারপর ধাপে ধাপে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
এই প্রকল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল “ধাপে ধাপে সহায়তা” প্রদান করা। প্রথমে প্রত্যেক উপযুক্ত মহিলাকে সরকার ১০ হাজার টাকা করে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
এই অর্থ দিয়ে তাদের একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এরপর ৬ মাসের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে – ওই মহিলা আদৌ ব্যবসার মাধ্যমে আয় করছেন কি না, অথবা স্বনির্ভর হয়েছেন কি না তা যাচাই করা হবে।
যদি সফল হয়ে থাকেন তাহলে তিনি পেতে পারেন আরও ধাপে ধাপে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা করা হবে। এই অর্থ পেয়ে মহিলারা বিউটি পার্লার, দোকান, পশু পালন, দর্জির কাজ, কিংবা যেকোনো ক্ষুদ্র স্টার্টআপ শুরু করার জন্য দেওয়া হবে।
কারা এই ভাতা পেতে পারবেন?
এই প্রকল্পে শুধুমাত্র যোগ্য মহিলারাই আবেদন জানাতে পারবেন। নিচে দেখে নিন বিস্তারিত যোগ্যতা:
বয়স সীমা:
- কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স
- সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স
আর্থিক শর্ত:
- BPL (দারিদ্র সীমার নিচে) পরিবার থেকে আসা মহিলা থাকতে হবে
বৈবাহিক অবস্থা:
- কেবলমাত্র অবিবাহিত মহিলারা পাবেন
- এবং যাদের পিতা-মাতা জীবিত নেই – এমন মহিলাদের অগ্রাধিকার পাবেন
অন্যান্য শর্ত:
- আবেদনকারীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হলে
কোন কাজের জন্য মিলবে এই ভাতা?
বিহার সরকার ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য জীবিকার একটি তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছেন। এসব পেশায় আগ্রহী হলে আবেদনকারীরা সহজেই ভাতা পাবেন। তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
- ফল, সবজি ও মুদিখানার দোকান দিলে
- দুধ, জুস ও খাবারের দোকান দিলে
- বিউটি পার্লার ও কসমেটিকস দোকান খুললে
- গহনার দোকান খুললে
- মোবাইল রিচার্জ ও স্টেশনারি শপ অপেন
- ফটোকপি ও প্রিন্টিং দোকান দিলে
- দর্জির কাজ ও পোশাকের দোকান
- ইলেকট্রিক সামগ্রী ও বাসনপত্রের দোকান দিলে
- ছাগল, হাঁস-মুরগি বা গবাদি পশু পালন
- ই-রিক্সা বা অটো সার্ভিস
উপরোক্ত সব ক্ষেত্রেই মেয়েরা নিজ উদ্যোগে কাজ শুরু করে আয় করতে পারবেন এবং প্রয়োজনমতো আর্থিক সহায়তা পাবেন সরকারের কাছ থেকে।
আবেদন পদ্ধতি: গ্রাম ও শহরের জন্য আলাদা নিয়ম
গ্রামীণ এলাকায়:
গ্রামের মহিলারা আবেদন করতে পারবেন নিকটস্থ পঞ্চায়েত অফিস বা ব্লক উন্নয়ন অফিসে গিয়ে অফলাইনের মাধ্যমে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে, নিজের নথিপত্র জমা দিলেই আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে যাবক।
শহরাঞ্চলে:
শহরের মহিলাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে অনলাইন আবেদন পোর্টাল তবে বর্তমানে নেই। খুব শিগগিরই এই পোর্টাল চালু হবে। সেখানে গিয়ে লগইন করে অনলাইনেই আবেদন করা যাবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
- আধার কার্ড
- ঠিকানার প্রমাণ (রেশন কার্ড/বৈদ্যুতিক বিল)
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ
- পিতামাতার মৃত্যু সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
- স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যপদ সংক্রান্ত তথ্য
সরকারের লক্ষ্য কী?
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিহার সরকার একদিকে যেমন রাজ্যের মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তুলতে লেগে রয়েছে, অন্যদিকে বেকারত্বের হার কমাতেও চায় সরকার। ছোট ব্যবসা চালিয়ে মহিলারা যেন নিজস্ব আয়ের পথ তৈরি করতে পারেন তারা, সেটাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ।
তাই একথা বলা যায়, এটি শুধুমাত্র ভাতা বা ভরসা দেওয়ার প্রকল্প নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও বটে – যেখানে মহিলারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন এবং সমাজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারেন সহজেই ।
বিহার সরকারের মহিলা রোজগার যোজনা প্রকল্প শুধু একটি ভাতা ভিত্তিক প্রকল্প নয়। এটি রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলার জীবনে পরিবর্তন আনার একটি বড় উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হ’য়ে। যদি আপনি বা আপনার চেনাজানা কেউ এই যোগ্যতার আওতায় পড়ে থাকেন, তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
তবে অবশ্যই মনে রাখবেন:
- আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ আছে
- প্রথমে ১০ হাজার টাকা, সফল হলে ২ লক্ষ পর্যন্ত দেওয়া হবে
- ছোট ব্যবসা, সেলাই, পার্লার, পশুপালন—সবই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে
- সরকার সরাসরি টাকা পাঠাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে
আপনার পরবর্তী উদ্যোগের জন্য দরকার শুধু একটু সাহস, আর সরকারের এই সহায়তা।
আরও পড়ুন
প্যান কার্ড থাকলেই 5 লাখ তাৎক্ষণিক লোন! ঘরে বসে নিয়ে ফেলুন সুযোগ - Pan Card Instant Loan Idea
Aitpune is a experience content writer in various niches. I have 5 years experience in the field of content writing specially Bengali language. But i also work in English. So if any error done by me please forgive me.Thank You