Aadhaar card issuance stopped: এবার আধার কার্ড নিয়ে বিরাট উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। কেননা একটি দেশজুড়ে SIR নিয়ে তোলপাড় চলছে অন্যদিকে নতুন করে আধার নিয়ে বড় আপডেট এসেছে । এই রাজ্য আধার কার্ড সংক্রান্ত একটি বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, আগামী এক বছর রাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের নতুন করে আধার কার্ড ইস্যু বন্ধ রাখা হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে এক প্রেস বিবৃতিতে জানান—
সম্পর্কিত পোস্ট
সুসংবাদ! মহিলারা পাবেন ₹১৮,০০০ ও পুরুষরা ₹১৩,০০০ আর্থিক সহায়তা, জেনে নিন পুরো আবেদন পদ্ধতি -Labour Card Yojana 2025“রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যেন আধার কার্ড পেয়ে নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি না করতে পারেন, তা নিশ্চিত করাই সরকারের উদ্দেশ্য।”
এদিন তিনি আরও বলেন, “আমরা সীমান্ত দিয়ে লাগাতার অনুপ্রবেশকারীদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। এই রাজ্য হয়ে যাতে কেউ ভারতে ঢুকে নাগরিকত্ব দাবি করতে না পারেন, তাই আধার ইস্যু সীমিত করার এই পদক্ষেপ।”
কারা এই নিয়মের আওতায়?
তবে আপাতত এই নিয়ম সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নতুন আধার কার্ড আবেদনকারী-দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নয় বলে জানা যায়।
যাদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়:
- তফসিলি জাতি (SC)
- তফসিলি জনজাতি (ST)
- চা বাগানের শ্রমিক সম্প্রদায়
জানানো হয়, এই শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিরা আগামী এক বছর ধরে সাধারণ নিয়মেই আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কবে থেকে কার্যকর হবে নতুন নিয়ম?
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই নিয়ম আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকেই কার্যকর হতে চলেছে। যাঁরা এখনও আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেননি, তাঁদের সেপ্টেম্বরের মধ্যে দ্রুত আবেদন সম্পূর্ণ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
আর এক্ষেত্রে যদি কেউ সময়মতো আবেদন করতে না পারেন, তবে শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি ও ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের বিশেষ অনুমোদনে আবেদন করা যাবে বলে জানা যায়।
ব্যতিক্রমী আবেদন কীভাবে হবে?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বরের পর যদি কেউ আবেদন করতে চান, তবে তাকে জেলা প্রশাসকের কাছে আগে আবেদন করতে হবে। কিন্তু এখানে তাদের সরাসরি অনুমোদন দেওয়া হবে না। আগে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট যাচাই করা হবে—
- স্পেশাল ব্রাঞ্চ রিপোর্ট
- ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল রিপোর্ট
এই দুটি রিপোর্টে যদি আবেদনকারীকে সন্দেহমুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে, তবেই তাঁকে আধার কার্ড ইস্যু করা হবে।
আধার কার্ডের গুরুত্ব কেন এত বেশি?
আর বর্তমানে আধার কার্ড শুধু একটি পরিচয়পত্র নয়, বরং নাগরিকত্বের একপ্রকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন রেশন, এলপিজি ভর্তুকি, পেনশন প্রকল্প, স্কলারশিপ সহ বহু সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তাই সরকারের এই সিদ্ধান্ত শুধু একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং এর সঙ্গে নাগরিকের মৌলিক অধিকার জড়িয়ে রয়েছে এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছে।
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা চালু করেছে। বিরোধী দলের এক বিধায়ক বলেন—
“সরকার সব প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর তকমা দিয়ে আসল নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। এটা নিঃসন্দেহে এক প্রকার বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হবে।”
তবে সরকার পক্ষের দাবি, “এর ফলে নাগরিকদের অধিকার অটুট থাকবে, কিন্তু যাদের সন্দেহ রয়েছে, তাদেরকে যাচাই ছাড়া আধার দেওয়া হবে না—এটা স্বাভাবিক প্রশাসনিক সতর্কতা।”
জাতীয় স্তরে প্রভাব
অসম সরকারের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এল, যখন বিহারে ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। যা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক চলছে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট এর মধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, আধার কার্ড দেখিয়ে আবার ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে।
এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের উল্টো সিদ্ধান্ত নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে হয়ে দাড়িয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনও মন্তব্য জানাননি।
নাগরিকদের জন্য পরামর্শ
যাঁদের আধার কার্ড এখনও করা হয়নি, তাঁরা সেপ্টেম্বরের আগে আবেদন সম্পূর্ণ করে নিন। নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর ৩০ তারিখ-এর পর আবেদনকারীদের জন্য প্রক্রিয়া হবে কঠিন ও জটিল। তাই সময়মতো আবেদন করাই শ্রেয়।
আধার কার্ডের আবেদন পদ্ধতি
আপনি বা আপনার জানা শোনা যদি অসমে বসবাস করেন এবং এখনও আধার কার্ড না করে থাকেন, তাহলে এখনই এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন:
- UIDAI-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://uidai.gov.in) ভিজিট করতে হবে
- নিকটবর্তী আধার এনরোলমেন্ট সেন্টার খুঁজে নিন
- আবেদন ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (জন্মসনদ, ঠিকানার প্রমাণ, পরিচয়ের প্রমাণ) সহ জমা দিতে হবে
- বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে
- আবেদন নম্বর সংগ্রহ করে রাখতে হবে
- আধার কার্ড প্রস্তুত হলে, সেটি পোস্টে বা অনলাইনে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন
পরিশেষে বলা যায়, অসম সরকারের আধার কার্ড সংক্রান্ত এই নতুন নীতিগত সিদ্ধান্ত দেশের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংক্রান্ত আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সাধারণত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসনিক নজরদারি জরুরি হলেও, এর সঙ্গে যেন প্রকৃত নাগরিকদের অধিকার ক্ষুন্ন না হয়, সেই দিকেও নজর রাখতে হবে।
তবে যারা অসমের বৈধ বাসিন্দা, তাঁদের উচিত অবিলম্বে আধার কার্ডের জন্য আবেদন করে নেওয়া। সেপ্টেম্বরের পর প্রক্রিয়াটি আরও কঠিন হয়ে যাবে এবং এরপরে শুধুমাত্র জেলা প্রশাসকের অনুমতিতে পাওয়া যাবে আধার কার্ড।
*আপাতত শুধু অসম রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য সেখানকার সরকার এই নিয়ম জারি করেছে।

Aitpune is a experience content writer in various niches. I have 5 years experience in the field of content writing specially Bengali language. But i also work in English. So if any error done by me please forgive me.Thank You